নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তল্লা এলাকার যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবকে ‘সন্ত্রাসী’ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আজমেরীবাগ কেন্দ্রীয় উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
যুবলীগ নেতা বিপ্লব হামলা ও ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করেছেন জানিয়ে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, গত ৩১ মে রাত পৌনে ১২টার দিকে তল্লার আজমেরীবাগ এলাকায় অভিযুক্ত জানে আলম বিপ্লব, তার লোকজন নিয়ে আমার উপরে হামলা চালায়। ওই সময় তার সাথে থাকা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয় গেছে তারা।
হামলার সময় মিজানুর রহমানের কলেজপড়ুয়া ছেলে মুশফিকুর রহমান এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে হামলকারীরা। হামলা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ মিজানুর রহমানের। পরে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ এ কল করে উদ্ধার হন তারা। এই ঘটনায় ১ জুন সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজমেরীবাগ এলাকায় একটি ওষুধ বিক্রয়ের দোকান রয়েছে তার। পাশাপাশি স্থানীয় সামাজিক কর্মকান্ডের সাথেও সম্পৃক্ত তিনি। আজমেরীবাগ কেন্দ্রীয় উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এই কমিটির সভাপতি স্থানীয় শিল্পপতি মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সামাজিক কর্মকান্ড করতে গিয়ে জানে আলম বিপ্লবের সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিপ্লব একজন সন্ত্রাসী। সে তার বাহিনী দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। এলাকায় কেউ ভালো কাজ করতে গেলে তার বিরুদ্ধে চলে যায় বিপ্লব। সে রাজনৈতিক লেবাস লাগিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। বিগত সময়ে সে বিএনপি করতো। মালয়েশিয়া থেকে এসে এখন আওয়ামী লীগের লেবাস ধরেছে। সে দল ও দলীয় এমপির সুনাম ক্ষুন্ন করছে। বিগত সময়ে এলাকায় ওয়াসার লাইন সংযোগের জন্য প্রতি বাড়ি থেকে ৩ হাজার টাকা করে প্রায় ১০ লাখ টাকা তুলেছে। যার একটি টাকারও হিসাব নাই, ওয়াসার সংযোগও নাই। করোনার সময় বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা তুলেছে। কিন্তু সেই টাকায় কাকে বা কাদের সহযোগিতা দিচ্ছে কেউ জানে না। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল বাতেন, অর্থ সম্পাদক আফম আব্দুল আউয়াল, ইসলামী বিষয়ক সম্পাদক হাজী শহীদুল্লাহ স্থানীয় কয়েকজন।
(সংবাদচর্চা/২জুন/এএম-এম)